মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে একটি নৌকায় শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ওই নৌকায় ১৯ শিশু, ১১ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে নাফ নদীর টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী সীমান্ত পয়েন্ট থেকে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে নাফ নদীর কেরুনতলি পয়েন্টে একটি নৌকায় কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেখেন বিজিবি সদস্যরা। পরে তাঁদের বহনকারী নৌকাটিকে বাধা প্রদান করা হয়। বাধার মুখে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরত যেতে বাধ্য হন। এতে রোহিঙ্গাদের নৌকাটি শূন্যরেখা পেরিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
মো. মহিউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) তুমুল লড়াই চলছে। কোনো কোনো এলাকায় বসতঘরগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নাফ নদীর তীরে এসে আশ্রয় নেন। পরে মিয়ানমারের দালালেরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানোর আশ্বাস দেন। এদিকে বাংলাদেশের দালাল দলের সহায়তায় টেকনাফে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনেছেন। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের আটক করে নাফ নদী দিয়ে আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পাঠকের মতামত